শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
বাগেরহাট প্রতিনিধি।।
বাগেরহাট জেলার মোংলা পৌরসভার সিগনাল টাওয়ার এলাকায় এক কিশোরীকে প্রায় ৬ মাস ধরে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায়। ভীকটিম কিশোরী নিজে মঙ্গলবার মোংলা থানায় মামলা করলে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অপরাধে তিন নারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ভীকটিম কিশোরী মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকা একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
মোংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চেীধূরী মোবাইল ফোনে জানান, মোংলা পৌর শহরের সিগনাল টাওয়ার এলাকার জনৈক ব্যক্তির কিশোরী কন্যাকে ৬ মাস পূর্বে তার আত্মীয় শিউলি বেগম ও শারমিন বেগম কাজের কথা বলে জেলার শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে ওই কিশোরীকে রেখে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে তারা। এরপর গত ১১ জানুয়ারী কিশোরীর মা-বাবা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মোংলায় নিয়ে আসে। সর্বশেষ মোংলার কাইনমারী এলাকার বাসিন্দা দেলো পাটোয়ারী (৩০) তাকে ধর্ষণ করে। এর আগে শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর এলাকায় একটি বাড়ীতে রেখে এবং বিভিন্ন বাড়ীতে নিয়ে তাকে পতিতাবৃত্তি করায় তারা। কিশোরীকে তার পরিবার উদ্ধার করে আনার পর মঙ্গলবার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরী। মামলা নং-৬/ তারিখ ১২-০১-২১ইং।
মামলায় শারমিন বেগম (৩০), শিউলি বেগম (৪৫), পারভিন বেগম (৩৫), শিল্পী বেগম (৩৬), আলী হোসেন (৩৮), দেলো পাটোয়ারী (৩০) ও তায়েবা বেগম (৩০)কে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দেলো পাটায়ারী আর জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় তার আত্মীয় শারমিন, শিউলি ও শিল্পীকে রাতেই আটক করেছে পুলিশ। মামলার অপর আসামী আলী হোসেন ও তায়েবা বেগম পলাতক রয়েছে। আটককৃতদের বাড়ী মোংলার কাইনমারী ও সিগনাল টাওয়ার এলাকায়। আটককৃতদেরকে বুধবার বাগেরহাট আদালতের জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।